ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট | লক্ষণ ও চিকিৎসা কি?
ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট হলো একটি সাধারণ ধরনের ওভারিয়ান সিস্ট যা সাধারণত মহিলাদের প্রজনন বয়সে ঘটে এবং স্বাভাবিক মাসিক চক্রের অংশ হিসেবে ঘটে। এটি সাধারণত গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকেই সেরে যায়।
লক্ষণ:
ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট সাধারণত লক্ষণহীন থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যেতে পারে:
- পেটের নিচের অংশে ব্যথা: বিশেষ করে মাসিক চক্রের সময় বা তার আগে ব্যথা হতে পারে।
- অস্বস্তি বা চাপ: পেটে বা পিঠে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
- অতিরিক্ত মাসিক রক্তস্রাব বা অনিয়মিত মাসিক: কিছু ক্ষেত্রে মাসিক চক্রে পরিবর্তন আসতে পারে।
- যৌন সম্পর্কের সময় ব্যথা: কিছু মহিলা যৌন সম্পর্কের সময় ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
- মূত্রতন্ত্রের উপসর্গ: মূত্রতন্ত্রের ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে।
চিকিৎসা:
ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্টের চিকিৎসা সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে:
পর্যবেক্ষণ:
- চিকিৎসক পরামর্শ: অনেক ক্ষেত্রেই, সিস্টটি নিজে থেকেই সেরে যায়। চিকিৎসক নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এবং সিস্টটির আকার ও অবস্থার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করবেন।
- ইউল্ট্রাসোনোগ্রাম: সিস্টের অবস্থান ও আকার পর্যবেক্ষণ করার জন্য আল্ট্রাসোনোগ্রাম ব্যবহার করা হতে পারে।
ওষুধ:
- ব্যথা নিরামক: পেটের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু সহজ ব্যথা নিরামক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হরমোন থেরাপি: কিছু ক্ষেত্রে, হরমোনাল কন্ট্রাসেপ্টিভ যেমন পিল ব্যবহার করা হতে পারে যা সিস্টের বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
সার্জারি:
- অপারেশন: সাধারণত ফাংশনাল সিস্ট সার্জারির প্রয়োজন হয় না, তবে যদি সিস্ট বড় হয়, দীর্ঘস্থায়ী থাকে, বা অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করে, তখন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন:
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রেস কমানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করা যেতে পারে।
আরো পড়তে পারেন :
মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- চিকিৎসকের পরামর্শ: কোনো সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিলে, একজন গাইনেকোলজিস্ট বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
- পরীক্ষার গুরুত্ব: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং স্ক্রিনিং গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যদি দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণ বা গুরুতর ব্যথা থাকে।
ফাংশনাল ওভারিয়ান সিস্ট সাধারণত উদ্বেগজনক নয়, তবে আপনার যদি কোনো লক্ষণ বা সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।