মুখের ত্বকে কোন কোন উপকরণ ব্যবহার ঠিক নয়

 মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাই এর যত্নে কিছু উপকরণ এড়িয়ে চলা উচিত। নিচে এমন কিছু উপকরণ ও রাসায়নিকের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলি মুখের ত্বকে ব্যবহার করা ঠিক নয়:

  1. অ্যালকোহল: মুখের ত্বকে অ্যালকোহল ভিত্তিক পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এটি ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে, বিশেষত যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল বা শুষ্ক হয়।

  2. সলফেট (Sulfates): সলফেট, যেমন সোডিয়াম লরিল সলফেট (SLS), ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে এবং প্রদাহের কারণ হতে পারে। এটি প্রায়ই ক্লিনজার এবং শ্যাম্পুতে ব্যবহৃত হয়।

  3. পারাবেনস (Parabens): পারাবেনস এক ধরনের কেমিক্যাল প্রিজারভেটিভ যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে এবং এর কারণে অ্যালার্জি বা ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

  4. হার্শ স্ক্রাব (Harsh Scrubs): মুখের ত্বকে খুব শক্ত স্ক্রাবার ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ত্বকে ক্ষতি করতে পারে।

  5. ফ্র্যাগরেন্স (Fragrance): কৃত্রিম সুগন্ধি বা ফ্র্যাগরেন্সযুক্ত পণ্যগুলি ত্বকে অ্যালার্জি, লালচে ভাব বা ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে।

  6. বেঞ্জয়েল পারক্সাইড (Benzoyl Peroxide): এই উপাদানটি অ্যাকনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি ত্বককে শুষ্ক ও খসখসে করতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে এটি লালচে ভাব এবং জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে।

  7. লেমন জুস (Lemon Juice): লেবুর রস মুখে সরাসরি ব্যবহার করা ঠিক নয়, কারণ এর উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটি ত্বককে জ্বালাপোড়া এবং রোদে সংবেদনশীল করে তুলতে পারে।

  8. হাইড্রোকুইনোন (Hydroquinone): এটি একটি ত্বক ফর্সাকারী উপাদান, যা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে এবং হাইপারপিগমেন্টেশন বা রক্তের সংবহন সমস্যার কারণ হতে পারে।

  9. অ্যাপ্রিকট কার্নেল (Apricot Kernels): অনেক স্ক্রাবে অ্যাপ্রিকট কার্নেলের ছোট ছোট কণিকা থাকে, যা ত্বকের সংবেদনশীল স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং অতি ক্ষুদ্র কাটা-ছেঁড়ার সৃষ্টি করতে পারে।

  10. পেট্রোলিয়াম জেলি (Petroleum Jelly): যদিও পেট্রোলিয়াম জেলি একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার হতে পারে, এটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে এবং ব্রণের প্রবণতা বাড়াতে পারে।

মুখের ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য উপযুক্ত পণ্য ও উপাদান ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের ধরন অনুযায়ী পণ্য নির্বাচন করা এবং নতুন কোনো পণ্য ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করা উচিত।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url