সিজার পরবর্তী সময়ে জটিলতা মা ও শিশু কী কী সমস্যায় পড়ে?

 সিজারিয়ান সেকশন (সিজার) একটি বড় ধরনের সার্জারী, এবং এর পরবর্তী সময়ে কিছু সম্ভাব্য জটিলতা মা ও শিশুর জন্য হতে পারে। এই জটিলতাগুলি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে এবং এগুলি যথাযথ যত্ন ও চিকিৎসার মাধ্যমে পরিচালনা করা যেতে পারে। এখানে কিছু সাধারণ সমস্যা উল্লেখ করা হলো:

মায়ের জন্য সিজার পরবর্তী জটিলতা:

  1. ইনফেকশন:

    • সার্জিক্যাল সাইট ইনফেকশন: সিজারিয়ানের জায়গায় ইনফেকশন হতে পারে যা টেনশন এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।
    • ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI): মূত্রথলির ইনফেকশন সিজারের পর হতে পারে।
  2. রক্তস্রাব:

    • হেমোরেজ: অতিরিক্ত রক্তপাত বা রক্তস্রাব হতে পারে, যা সিজারের পরকারণে ঘটে।
  3. ব্যথা:

    • পেটের বা সিজার সাইটে ব্যথা: অপারেশনের পর পেটের বা সার্জিক্যাল সাইটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  4. অ্যাডিহেসিভস:

    • পেটের পেশী বা টিস্যুতে অ্যাডিহেসিভস: সিজার পরবর্তী সময়ে পেটের অভ্যন্তরে টিস্যুর মধ্যে সংযোগ তৈরি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
  5. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা:

    • কনস্টিপেশন: অ্যানেস্থেশিয়া এবং মেডিকেশন কারণে কনস্টিপেশন হতে পারে।
  6. প্রথম ক্ষত পুনরুদ্ধার:

    • দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত: সিজার পরবর্তী সময়ে ক্ষত সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে।
  7. থ্রম্বোসিস:

    • ডি.ভি.টি. (DVT): গভীর শিরার থ্রম্বোসিস বা রক্ত জমাট বাঁধা হতে পারে, বিশেষত দীর্ঘ সময় শয্যাশায়ী অবস্থায় থাকলে।
  8. অবশ্যই অ্যাক্টিভিটি পুনরুদ্ধার:

    • শরীরচর্চা সীমিতকরণ: শারীরিক কার্যক্রম সীমিত করা প্রয়োজন হতে পারে এবং পূর্ণ কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে সময় লাগতে পারে।

শিশুর জন্য সিজার পরবর্তী জটিলতা:

  1. শ্বাসকষ্ট:

    • শ্বাসজনিত সমস্যা: কিছু শিশুর শ্বাসনালীর সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে সিজারের পর জন্মালে।
  2. নিউমোনিয়া:

    • শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ: সিজারিয়ান সেকশনের কারণে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
  3. জন্ডিস:

    • জন্ডিসের সমস্যা: কিছু শিশুর জন্ডিস হতে পারে, যা সিজার পরবর্তী সময়ে লক্ষণীয় হতে পারে।
  4. খাদ্যপ্রণালী সংক্রান্ত সমস্যা:

    • খাবার গ্রহণের সমস্যা: সিজারিয়ান সেকশনের পর কিছু শিশুর খাদ্যগ্রহণের সমস্যা হতে পারে।
  5. ডিহাইড্রেশন:

    • জলশূন্যতা: শিশুর যথাযথ পুষ্টি এবং জলশূন্যতা পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

যত্ন ও প্রতিকার:

  • মায়ের যত্ন:

    • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: সিজার পরবর্তী স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
    • ওষুধ ও চিকিৎসা: চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।
    • স্বাস্থ্যকর খাদ্য: পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

আরো পড়তে পারেন :

মেয়েদের নামের অর্থ 

  • শিশুর যত্ন:

    • শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা: নবজাতকের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
    • স্বাস্থ্যকর খাবার: যদি বুকের দুধ খাওয়ানো যায়, তাহলে বুকের দুধ দেওয়ার চেষ্টা করুন।

সিজারের পরবর্তী সময়ে মা ও শিশুর যত্ন নিতে চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url